পঞ্চগড় প্রতিনিধি
উত্তরবঙ্গের দাবি পূরণের আশ্বাস আসিফ মাহমুদের
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, উত্তরবঙ্গের প্রায় ১২ টি জেলার ২২ টি উপজেলায় আমি পরিদর্শন করব।
শুধুমাত্র একটি বিশেষ কারণে। আপনারা জানেন বিগত সময়ে উন্নয়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ অবহেলিত হয়েছে। তাই পরিদর্শন করতে চেয়েছি। আপনাদের দাবি গুলো জানতে চাইছি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, তেঁতুলিয়া এবং পঞ্চগড়ে ট্যুরিজমের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ট্যুরিজমের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে এই সরকার। এ সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের নাগরিক সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন যেসব এলাকায় উন্নয়ন হয়নি সেসব এলাকায় আমরা জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ বাড়িয়েছি এবং যেসব প্রকল্প চলমান আছে সেগুলোর বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সকল স্তরে দুর্নীতির করাল গ্রাসে গ্রাসিত করেছে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করছে। আশাকরি আপনারা পাশে থাকবেন। আমরা আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবো।
তিনি বলেন, কৃষি ভিত্তিক শিল্পের বিকাশ এবং উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের তিস্তা নদীতে পানি সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। বৈষম্যের শিকার এলাকাগুলোতে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হয় এসব এলাকায়। এখানে কৃষি শিল্পের বিকাশের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে তিনি জেলার আটোয়ারী উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বক্তব্য রাখেন । দুই উপজেলায় ৪ হাজার শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল এবং শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন, বিএনপি নেত্রী রাজিয়া সুলতানা, ২ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ